কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী, র‌্যাব-পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য মাঠে

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশপথ ও মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। মাঠে রয়েছেন র‌্যাব, পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও। শুক্রবার রাত থেকে তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন।

ডিএমপি বলছে, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই দুই দলের সমাবেশ যাতে শেষ হয় সেজন্য পুলিশ কাজ করছে। বাহিনীর ১৩ হাজার সদস্য মাঠে থাকবেন। সমাবেশেও উপস্থিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য।

র‌্যাব সূত্র জানায়, তাদের দুই হাজার সদস্য মাঠে রয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি সাইবার ওয়ার্ল্ডেও তারা কাজ করছেন।

তাছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন। এর মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), এনএসআই, সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন।

শুক্রবার রাতে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের ১৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এরইমধ্যে তারা মাঠে কাজ শুরু করেছেন। ডিএমপির পক্ষ থেকে বড় দুই দলকে তাদের নির্ধারিত জায়গায় সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে যত প্রকারের নিরাপত্তা নেওয়া দরকার সব নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের নাশকতা বা কোনো ধরনের গন্ডগোল কেউ না করতে পারে। আমরা প্রায় ১৩ হাজার পুলিশ মাঠে রেখেছি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই হাজার সদস্য মাঠে রেখেছি। সবধরনের নিরাপত্তায় তারা কাজ করছে। যাতে কেউ কোনো ধরনের অপরাধ করতে না পারে।’

এদিকে দুদলের কর্মসূচি ঘিরে সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক উচ্চ ক্ষমতার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘যেকোনো আশঙ্কা তো নোটিশ করে আসবে না। যদি কেউ মাস্টারমাইন্ড থেকে থাকে সেটিকে ঘিরেই আমাদের নিরাপত্তা থাকে। সবকিছু সুন্দর করে হয়ে গেলে আমাদের আর প্রয়োজন ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেফ সিটি ঢাকা চাই। যেখানে প্রতিটি মানুষ সিকিউরড থাকবে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয় সেখানেও সিসি ক্যামেরা থাকে। ডিএমপির দায়িত্বের জায়গা থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে।’

নানান নাটকীয়তা শেষে শুক্রবার রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। এর আগ পর্যন্ত দুদলের কাউকেই মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। মাঝ পথেই বন্ধ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের মঞ্চ তৈরির কাজ।

পাঠকের মতামত: